হাওজা নিউজ এজেন্সি বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী, পর্ব ১- জবেহ আজিম বা মহান কোরবানি শুরু হল কাবা বানানে ওয়ালা হযরত ইসমাঈল (আ:) মাধ্যমে আর শেষ হল কা’বা বাঁচানে ওয়ালা মাওলা হুসাইন (আঃ) এর মাধ্যমে।
আজ থেকে সাড়ে চার হাজার বছর পূর্বে সংঘটিত পিতা পুত্রের আত্মত্যাগের এই অপূর্ব ঘটনা যুগ যুগ ধরে আল্লাহ্ তালার অবতীর্ণ দ্বীনে হক-ইসলামের হেফাজত ও মর্যাদা রক্ষায় ও মুসলিম জাতির ন্যায্য স্বর্থরক্ষার উৎসরূপে কাজ করে আসছে।
আনুষ্ঠানিক কোরবানি বিগত সাড়ে চার হাজার বছর ধরে সমগ্ৰ মুসলিম বিশ্বে চালু রয়েছে। এটা হজরত ইবরাহিম (আঃ) ও কিশোর পুত্র হজরত ইছমাইল (আঃ)-এর ঐশী প্রেমের চরম নিদর্শন। এটা পিতা পুত্র উভয়েরই খােদার রাহে উৎসর্গ হওয়ার চির অস্নান স্মরণিকা মাত্র।
কিন্তু বড়ই পরিতাপের বিষয়, বর্তমান যুগের অধিকাংশ মুসলমানই কোরবানির শিক্ষা সম্বন্ধে অবগত নয়। আল্লাহ্ তালার আদেশে আত্মোৎসর্গের এমন মহান ঘটনা হতে যে তাদের জন্য অনেক কিছু শিক্ষণীয় রয়েছে সে সম্বন্ধে প্রায় মুসলমানই অজ্ঞতার তিমিরে ডুবে আছে। পিতা-পুত্রের আত্মোৎসর্গের মহান ঘটনা থেকে আমরা কি শিক্ষা পাই? এটা কি খোদা প্রেমের চরম ও পরম নিদর্শন নয়?
আল কোরআনের 'ভাষায় জবেহ' আজিম 'মহান কোরবানি' কী?
“জবেহ ’ অর্থাৎ ‘যাবিহুন বা মাযবুহুনে বোজর্গ ও আজীমবোজর্গঅর’ যার বাংলা শাব্দিক অর্থ- মহান ও বৃহৎ যবাইকৃত। এধরণের গুণবাচক শব্দ কোরআনে একটি বার ব্যবহৃত হয়েছে। সূরা আস সাফ্ফাত- এর ১০৭ নং আয়াতে; এই আয়তে আল্লাহতালা বলেন, ‘অফাদাইনাহু বিযিবহিন আজীম’ অর্থাৎ আমি তার পরিবর্তে মহান যবেহ কবুল করলাম।’(সূরা ছাফফাত-এর ১০২ আয়াত থেকে ১০৯ আয়াত পর্যন্ত দেখার অনুরোধ করছি)।
অধিকাংশ শিয়া ও সুন্নি তাফসীরকারী এখানে বলেন যে ‘জবেহ আজিম’ এর উদ্দেশ্য ভেড়া নামক পশু যবেহকে বুঝানো হয়নি। আল্লামা তাবাতাবায়ীর মতে যেহেতু এই যবেহ আল্লাহ তায়ালার নির্দেশ মোতাবেক ‘আজীম’ বলে নামকরণ করা হয়েছে; সেহেতু স্বয়ং 'জবেহ নিজসলে কখনো আজিম হতে পারে না, এর উদ্দেশ্য ভিন্ন।…চলবে…
লেখা: রাসেল আহমেদ রিজভী